শতবর্ষী নৌকার হাটে করোনার হানায় দিশাহারা নৌকা ব্যবসায়ীরা। ঝালকাঠির নৌকা শিল্প করোনার প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। মিস্ত্রির অভাবে নৌকা তৈরি যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি স্থানীয় হাটে দূর-দূরান্তের ক্রেতারও আসতে পারছেন না। খাল-বিল, নদী-নালা বেষ্টিত ঝালকাঠি এবং এর আশে পাশের জেলা গুলোতে বর্ষা মৌসুমে নৌকার কদর অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে কৃষকদের কাছে। ধান কাটা, বাগান থেকে পেয়ারা, আমড়া, বিভিন্ন শাকসব্জি সহ অন্যান্য ফসল সংগ্রহ এবং বাজারজাত করার কাজে নৌকার বিকল্প নেই।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঝালকাঠিসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নালা খালবিল গুলো পানিতে টৈ-টম্বুর হয়ে গেছে। এতে নৌকা নির্ভর এসব এলাকায় নৌকার চাহিদা থাকলেও করোনার বিরুপ প্রভাব পড়েছে এ শিল্পের ওপর। একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় মিস্ত্রী পাওয়া যাচ্ছে না অন্যদিকে তেমন দূর দূরান্ত থেকে করোনার ভয়ে ক্রেতারা আসছেন না স্থানীয় নৌকার হাটে। একশ বছরের পুরানো ঝালকাঠির সিমান্তবর্তী আটঘর হাট ঘুরে দেখা গেছে আগের বছরের তুলনায় সিকিভাগ নৌকাও হাটে আসেনি ক্রেতাও কম। বিক্রেতারা জানিয়েছেন কাঠসহ নৌকা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও বাড়েনি নৌকার দাম। ক্রেতা কম থাকায় চাহিদাও কম। ফলে এ শিল্পের সংগে জড়িতরা বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে ক্রেতার বলছেন নৌকার দাম আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন,স্থানীয় নৌকা শিল্পর ওপর করোনার প্রভাব পরার বিষয়টি জানা থাকার কথা স্বীকার করে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এ শিল্পের সাথে জড়িত ক্ষতিগ্রস্থদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।