জীবননদের তীরে বসে আছি প্রস্থানের আগে
ব্রহ্মপুত্রের যে জলে ভাসে চাঁদ রজনীর শব
উত্তরের যে বাতাসে নিভু নিভু ডিঙির প্রদীপ
অন্ধকারে মুছে নেয় ঢাকে মুখ শীতে কুয়াশায়
তারই অপেক্ষা নিয়ে মহাকাল জেগে রয় একা
আকাশের তলে শুয়ে নক্ষত্রের সাথে কয় কথা
পশুপালকের দিনে নদী কূলে রাখালের বাঁশি
শোনায় যে বিরহীর প্রেমিকার অন্তরের ব্যথা
সমারোহের লিরিক; উদাসীন যুবকের ডাক
বুকের ভূমিতে চুপে লিখা থাকে যেসব প্রণয়
তারই পাশে নিশ্চুপ পাখিমন নীরবে কুড়ায়
পৃথিবীর প্রেমশস্য শব্দ-দৃশ্য ধান ধনে যব
নিবিড় ভ্রমণাহার শেষ হলে একদিন তারে
শ্বেত কশেরুকাসম টগরের ঘ্রাণে খুঁজে নেবো
শীতলপাটি বিছিয়ে ঘুম দেবে পরিপাটি মুখ
সন্ধ্যা মালতীর বেশে তুমি এসে বসে রবে পাশে
তোমাদের হাসি মাখা প্রিয় মুখ দেখতে দেখতে
এ জীবন পাড়ি দেবো ব্রহ্মপুত্র জলে ভেসে একা
আকাশ তারার সাথে কথা প্রেম শেষে হেমন্তের ভোরে
পরজন্মে ফিরিবো এ মাটি ঘাসে জীবননদের তীরে